সকালে উঠে এই ৫টি অভ্যাস গড়ে তুলুন সন্তানের মধ্যে, ভবিষ্যতে হবে আদর্শ মানুষ
আজকের ব্যস্ত জীবনে অনেক বাবা-মা-ই অভিযোগ করেন, এখনকার শিশুরা আর সকালে উঠে নিজেদের ভালোভাবে দিন কাটানোর সংকল্প করে না। কিন্তু প্রশ্ন হল, বাবা-মা নিজেরাই কি ছোট থেকে সন্তানদের মধ্যে সঠিক নিয়মের অভ্যাস তৈরি করছেন? শিশুর মানসিক, শারীরিক ও জ্ঞান বিকাশের জন্য ছোট থেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছু নির্দিষ্ট ভালো কাজের অভ্যাস শেখালে, তা তাদের সারা জীবন কাজে আসবে। চলুন জেনে নিই এমন ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে।
১. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস
প্রতিদিন একই সময়ে উঠে পড়া শরীরের স্বাভাবিক ঘড়ি বা সারকাডিয়ান রিদম বজায় রাখে। এতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়, ক্লান্তি কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। বাবা-মায়েদের উচিত সন্তানকে একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের ঘুম এবং ওঠার নিয়মে অভ্যস্ত করে তোলা। ছুটির দিনেও যেন খুব বেশি বিচ্যুতি না ঘটে।
২. বিছানা গোছানোর শিক্ষা
ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানাটি নিজে গুছিয়ে নেওয়ার অভ্যাস শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধ এবং পরিপাটির মনোভাব তৈরি করে। এই ছোট্ট কাজ দিনের গোড়ার দিকেই তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বীজ বপন করে।
৩. মুখ ধোওয়া ও দাঁত মাজা
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোওয়া এবং দাঁত ব্রাশ করাটা স্বাস্থ্যকর জীবনের অন্যতম মূলভিত্তি। এতে শরীর সতেজ হয় ও জীবাণুর ঝুঁকি কমে। আজকাল শিশুরা ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল হাতে নেয়, কিন্তু তার পরিবর্তে খবরের কাগজ ধরিয়ে দিন হাতে। এতে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় ঘটবে।
৪. সকালের হালকা শরীরচর্চা
সকালে কিছুক্ষণ যোগব্যায়াম, দৌড়ানো বা লাফানো শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং মানসিক সতেজতা আনে। শরীরচর্চার অভ্যাস ছোট বয়স থেকেই গড়ে তুললে ভবিষ্যতে সুস্থ জীবনের পথ তৈরি হয়।
৫. পুষ্টিকর জলখাবারের গুরুত্ব
সকালের খাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুষ্টিকর এবং সুষম জলখাবার শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং তাদের দৌড়ে এগিয়ে দেয়। চিনি-মেশানো খাবার বা ফাস্ট ফুড বাদ দিয়ে ফলমূল, দুধ, ওটস, ডিম ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে উৎসাহ দিন।
শিশুর ভবিষ্যৎ গড়তে চাইলে ছোট থেকেই তাদের মধ্যে ভালো অভ্যাস তৈরির গুরুত্ব অনেক। অভিভাবকদের উচিত নিজে উদাহরণ তৈরি করে সন্তানদের সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
0 Comments